JALI KABAB | KEBAB BEEF RECIPE | জালি কাবাব
জালি কাবাব বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডেলিসিয়াস বিফ ডিস। এই কাবাবটির মধ্যে একটা জালি জালি ভাব থাকে বলেই এর এমন নামকরন। জালি কাবাব ডুবা তেলে ভাজা হয়। এটি গরুর মাংসের কীমা, ব্রেড, পুদিনা পাতা, ধনিযা পাতা, ব্রেডক্রাম্ব, কয়েক ধরনের মশলা, টক দই, সস, টমেটো কেচাপ ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরি হয়। দারুন সুস্বাদু একটি বিফ ডিস। ছোট বড় সবাই খুব পছন্দ করে। বিরিয়ানীর সাথে খেতে খুবই ভাল লাগে। জালি কাবাব সহজেই তৈরি করা যায়। তাহলে জেনে নিন কীভাবে আপনি জালি কাবাব তৈরি করবেন।
উপকরণ
▪ গরুর মাংসের কীমা-১ কেজি।
▪ ব্রেড-২ পিস।
ব্রেড দু’টি পানিতে ভিজিয়ে তা থেকে
হাত দিয়ে চিপে পানিটাকে ফেলে দিতে
হবে।
▪ পেয়াজ মিহি কুচি-আধা কাপ।
▪ গরম মসলা-এক চা চামচ।
দারুচিনি, এলাচ, জায়ফল, জয়িত্রি এই
চারটা মশলা একসাথে নিয়ে গুড়ো
করে নিতে হবে। সেখান ১ চা
চামচ লাগবে জালি কাবাব তৈরিতে।
▪ কালো গোল মরিচের গুড়া-১ চা চামচ।
▪ মরিচের গুড়া-১ চা চামচ।
▪ জিরা গুড়া-আধা চা চামচ।
▪ পুদিনা পাতা বাটা-১ চা চামচ।
▪ পোস্তদানা বাটা-১ টেবিল চামচ।
▪ আদা বাটা-দেড় চা চামচ।
▪ রশুন বাটা-১ চা চামচ।
▪ ধনিয়া পাতা বাটা-১ চামচ।
▪ কাচা মরিচ বাটা-১ চা চামচ।
▪ সয়া সস-২ টেবিল চামচ।
▪ টমেটো কেচাপ-৩ টেবিল চামচ।
▪ পুদিনা পাতা কুচি-২ টেবিল চামচ।
▪ ধনিয়া পাতা কুচি-২ টেবিল চামচ।
▪ ব্রেডক্রাম্ব-প্রয়োজন মতো।
ব্রেডকাম্বের বদলে আপনি বিস্কিটের
গুড়াও নিতে পারেন।
▪ টক দই-৩ টেবিল চামচ।
▪ ডিম-৩টা/প্রয়োজন মতো।
কীমা তৈরিতে মশলা মাখানোর সময়
লাগবে ১টা। ভাজার সময় লাগবে
বাকী ২টা/প্রয়োজন মতো।
▪ লবন-স্বাদ মতো।
▪ তেল-প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালী
০১। প্রথমে মাংসটাকে মাখাতে হবে। তবে ২টা ডিম, তেল আর ব্রেডক্রাম্ব এখনই আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। এগুলো এখন লাগবে না। বাকী উপকরণগুলো মিশাতে হবে। এর জন্যে একটা পাত্র নিন। প্রথমে নিয়ে নিন মাংসের কীমা। এরপর এক এক করে যোগ করুন পেয়াজ কুচি, পোস্তদানা বাটা, পুদিনা পাতা বাটা, কাচা মরিচ বাটা, ধনিয়া পাতা বাটা, রশুন বাটা, আদা বাটা, মরিচের গুড়া, জিরা গুড়া, কালো গোল মরিচের গুড়া, গরম মশলার গুড়া, ব্রেড, পুদিনা পাতা কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, সয়া সস, টমেটো কেচাপ, একটা ডিম এবং স্বাদ মতো লবন। এখন এগুলোকে ভালভাবে মাখান। ১০ মিনিট ধরে মাখাতে হবে যেন সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশে যায়। খুব ভালভাবে মাখাতে হবে। যত বেশি মাখানো হবে কাবাব ততো বেশি টেস্টি হবে। মাখানোর উপরই জালি কাবাবের মজা। তাই খুব যত্ন করে মাখানোর কাজটা সেরে ফেলুন।
০২। মাখানো হয়ে গেলে আপনি এখন কাবাবগুলোকে শেপ দিবেন। একটু বড় শেপ দিতে হবে। কারন অন্যান্য কাবাবের তুলনায় জালি কাবাব একটু বড় হয়ে থাকে। একটু বড় করে না বানালে ভাজার পর এটি বেশি ছোট হয়ে যাবে। তাই একটু বড় করেই কাবাবগুলোকে তৈরি করুন এবং একইসাথে এগুলোকে চ্যাপ্টা ও রাউন্ড শেপ দিন। পুরু হবে আধা ইঞ্চি। একটু সতর্কতার সাথে যত্ন করে কাজটা করতে হবে। নয়তো ভেংগে যেতে পারে। কাবাবগুলোকে শেপ দিয়ে এক এক করে একটা পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
০৩। এবার আপনি কাবাবগুলোতে ব্রেডক্রাম্ব মাখাবেন। ব্রেডক্রাম্ব সতর্কভাবে সুন্দর করে মাখাতে হবে। নয়তো কাবাবগুলো ভেংগে যাবে। ব্রেডক্রাম্বের বদলে চাইলে আপনি বিস্কিটের গুড়াও দিতে পারেন। টোস্ট বিস্কিটের গুড়া। তো আপনি যেটা চান মাখিয়ে একটা পাত্রে সংরক্ষণ করুন। সবগুলো মাখানো হয়ে গেলে এগুলোকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। নরমালে রাখতে হবে অর্থাৎ ফ্রিজের যে অংশটাতে আমরা শাক সবজি রাখি কাবাবগুলো সেখানে রাখতে হবে। এতে ব্রেডক্রাম্ব কাবাবের গায়ে ঠিকভাবে বসে যাবে এবং একটা শক্ত শক্ত ভাব আসবে।
০৪। এখন আপনি দু’টো/প্রয়োজন মতো ডিম নিয়ে একটা বাটিতে ফেটে নিন।
০৫। কাবাবগুলোকে ভাজার জন্য এবার আপনি চুলায় একটা পাত্র বসিয়ে দিন এবং তাতে তেলটা ঢেলে দিন। তেল গরম হতে থাকুক। খুব কম আচে কাবাবগুলো ভাজতে হবে। কাবাবগুলো ফ্রিজে রাখার ১৫ মিনিট পর এগুলোকে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে ফেলুন।
০৬। এবার আপনি কাবাবগুলোকে ভাজবেন। প্রথমে কাবাবের গায়ে ডিম মাখিয়ে নিন। তারপর এটাকে তেলে ছেড়ে দিন। আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি জালি কাবাব ভাজতে হবে কম আচে। বেশি আচে ভাজলে এমন হতে পারে যে, উপর দিয়ে পুড়ে গেছে কিন্তু ভিতর দিয়ে কাচা থেকে গেছে। আর একটা কথা, এক কেজি মাংসের সবটা দিয়ে কাবাব তৈরি করতে ডিম দু’টোর চাইতে বেশি লাগবে। সেক্ষেত্রে আপনি ভাজার কাজের ফাকে ফাকে প্রয়োজন অনুযায়ী ডিম ভেংগে ফেটে নিবেন।
০৭। যেহেতু এটা জালি কাবাব সেহেতু কাবাবের উপর দিয়ে একটা জালি জালি ভাব থাকতে হবে। তাই কাবাবগুলোর উপরে ডিম ছিটিয়ে দিয়ে জালি জালি ভাব করে দিন। খুব কম আচে, বেশ সময় লাগিয়ে ভাজতে থাকুন। কাবাবগুলোকে উল্টে দিন এবং আবারো একবার কাবাবগুলোর উপর ডিম ছিটিয়ে দিয়ে জালি জালি ভাব করে দিন। ধৈর্য্য সহকারে সময় লাগিয়ে কাবাবগুলোকে উল্টেপাল্টে ভাজতে থাকুন। অনেক মজাদার একটি খাবার এই জালি কাবাব। সবাই পছন্দ করে।
০৮। ভাজা শেষ। জালি কাবাব ইজ নাউ রেডি টু সার্ভ। সো থ্যাংকস ফর গিভিং আস ইন্টারেস্ট এন্ড হোপ ইউ উইল কাম ব্যাক।
০৯। রেসিপিটি তৈরির আগে ভিডিওটি দেখে নিন। টেক্সট পড়ে, ভিডিও দেখে তৈরি করে ফেলুন দারুন মজার বীফ রেসিপি জালি কাবাব।